বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের শেষ লগ্নের জমজমাট প্রচার
সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী ,রঙ নিউজ
আগামী ১৩মে অনুষ্ঠিত হবে বহরমপুর লোকসভা আসনের নির্বাচন এবং প্রচার শেষ হবে আগামী ১১ মে। এই আসনটির জন্য অন্যতম তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী, বিজেপির ডাঃ নির্মল কুমার সাহা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ইউসুফ পাঠান। শেষ লগ্নে জমে উঠেছে প্রচার। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী অতি পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিনের এই পোড় খাওয়া রাজনীতিক হাতের তালুর মতন চেনেন তার নির্বাচনক্ষেত্রকে। এখন দিনরাত এক করে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন অধীর চৌধুরী। অনেকেই তাকে হাসিমুখে বরণ করে নিচ্ছেন, যদিও কোথাও কোথাও শুনতে হয়েছিল ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি। বিজেপির প্রার্থী ডাঃ নির্মল কুমার সাহা অত্যন্ত প্রসিদ্ধ একজন শল্য চিকিৎসক এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে তারও জনপ্রিয়তা যথেষ্টই। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে এই প্রথম তার সক্রিয় লড়াই। ডাক্তার বাবু দিনরাত এক করে চষে ফেলছেন তার লোকসভা ক্ষেত্রকে এবং মানুষ যে উদ্দীপনার সঙ্গে তাকে গ্রহণ করছে তা যথেষ্ট আশা ব্যঞ্জক। ইতিমধ্যে তার হয়ে প্রচার করে গেছেন যোগী আদিত্যনাথ সহ ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য ও কেন্দ্রের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ। ডাক্তারবাবুর বিপুল পরিচিতি কতটা ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হয় তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ইউসুফ পাঠান অত্যন্ত সুপরিচিত একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার। কিন্তু ভিন রাজ্যের বাসিন্দা হওয়ায় বঙ্গীয় রীতিনীতি এবং সংস্কৃতির সঙ্গে তার দূরত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড় হিসেবে তার জনপ্রিয়তা অনস্বীকার্য হলেও তার পক্ষে বিপুল ভোট পড়বে কিনা এই নিয়ে সন্দীহান কেউ কেউ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা অত্যন্ত আশাবাদী এই জনপ্রিয় ক্রিকেটারের জয় লাভ সম্পর্কে। প্রচারকে জমজমাট করে তুলতে এবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে রোড শো করতে আসছেন ইউসুফের আপন ভাই ইরফান পাঠান, ক্রিকেটার হিসেবে জনপ্রিয়তায় যিনি ইউসুফের চেয়ে কোনমতেই কম যান না। দুই ভাই একসাথে রোড শোতে বেরোলে মানুষের উচ্ছ্বাস যে তুমুলভাবে ঊর্ধ্বগামী হবে এ বিষয়ে সংশয় নেই অনেক বিদগ্ধ রাজনীতিকের। ভোট বাক্সে তার প্রতিফলন কতটা হবে বোঝা যাবে আগামী দোসরা জুন তারিখে।
সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, রামানন্দ দাস, প্রতীক চ্যাটার্জী
ম্যানেজার – বুবুন মাইতি
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
এডিটর ইন চিফ – রাকেশ শর্মা
