অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় এর “বেলা- ভূমি”
নম্রতা মুখার্জী, রঙ নিউজ
বেলা – এই নামটি যেন বাঙালী মহিলা মহলে একটি বহুল প্রচলিত নাম। বাঙালি মহিলাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত একজন, যিনি সেই সময়ের সেই বাঁধাধরা গতেবাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে এসে কিভাবে যাপন করা যায় শিখিয়েছেন। সেই সময়ের সমাজে শুনতে হয়েছে নানান কথা। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে,সেই সময়টা এখন অনেকের কাছেই লুপ্তপ্রায় লিপির ন্যায়। বিশ্বকবির মৃত্যু এবং সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত ভারতবর্ষের প্রথম মধ্যরাত এবং জওহরলাল নেহরুর বক্তৃতা – অবলীলায় ফুটিয়ে তুলেছেন অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি – “বেলা” ছবিতে। এই ছবি এখনকার মহিলা সমাজ দেখলে বুঝবেন তৎকালীন সমাজে মহিলাদের কি করুন লড়াইটাই না করতে হতো। এমনকি বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল চাকরি করার অপরাধে। স্কুলে পড়াকালীন বেলার গান পছন্দ হয় এক রায় বাহাদুরের। সেই মুহূর্তেই ওনার পুত্র হিরেন দের সঙ্গে। ছবিতে হিরেনের চরিত্রে দেখা যাবে ছোটো ও বড়ো পর্দার স্বনামধন্য, দক্ষ অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়কে। যাঁর মনোমুগ্ধকর অভিনয় চিরকাল আমাদের মনে রেখাপাত করে আসছে। ফিরে আসি মূল গল্পে ; কিছুদিন স্ত্রীর সঙ্গে থাকার পর তিনি চলে যান লন্ডন এবং স্ত্রী এর সঙ্গে যোগাযোগ ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়। এমতবস্থায় বেলা (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ) ঠিক করেন তিনিও পড়াশোনা করে লন্ডনে স্বামীর মুখোমুখি হয়ে এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের কারণ জানবেন। সেই মতো বেলা তাঁর এক দাদাকে (ছবিতে দাদার চরিত্রে দেখা যাবে পদ্মনাভ দাশগুপ্তকে) সঙ্গে নিয়ে লন্ডনগামী একটি জাহাজ উঠলেন। লন্ডনে স্ত্রী কে দেখে খানিক ইতস্তত বোধ করলেন স্বামী হিরেন দে। এরপরই বেলা মুখোমুখি হলেন এক চরম সত্যের সঙ্গে। বাকি সত্যিটা জানতে মন চাইছে তো? তাহলে অবশ্যই আপনার কাছের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি সপরিবারে দেখে আসুন অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ফিচার ফিল্ম “বেলা”।
সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, সোমনাথ মুখোপাধ্যায় , প্রতীক চ্যাটার্জী
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
এডিটর ইন চিফ – ড: রাকেশ শর্মা