টাইমড আউট নাকি অমানবিকতা আপনি কি বলছেন?
কলঙ্কিত ঘটনার সাক্ষী নিরুপায় ভক্তরা
সুপর্ণা রায় ; রঙ নিউজ
১৪৬ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম এমন অসৌজন্যতার সাক্ষী থাকল বিশ্ববাসী।
সোমবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ ছিল।
যদিও সে খেলায় বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়লাভ করেছে কিন্তু গোটা বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের সাথে সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছ থেকেও ধিক্কার পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর দেশের ক্রিকেট দল ।

সোমবার ম্যাচ চলাকালীন এমনি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটে। ক্রিকেট নিয়ম ৪০.১ অনুযায়ী একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটসম্যান কে ২মিনিটের মধ্যে মাঠে পৌঁছে বল নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সময়ের মধ্যেই মাঠে পৌঁছেলেও খেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারেন নি। আর সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।নাজমুল হোসেন শান্তর কথা শুনেই সাকিব আম্পায়ারের কাছে একটি আবেদন রাখেন। ক্রিকেটের নিয়ম ও নাম অনুযায়ী একে ” টাইমড আউট” বলা হয়।
দেরির কারণ হিসেবে ম্যাথিউস বার বার বলেন তার হেলমেটের স্ট্রিপে সমস্যা । কিন্তু আম্পায়ারের এক্ষেত্রে কিছু করার ছিল না ।
ম্যাথিউস বাংলাদেশের অধিনায়ককে অনুরোধ করলে তিনি হাসি মুখে তা প্রত্যাখ্যান করে জানান তার সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক।

মাঠের মধ্যে তাদের কথোপকথনে অনুমান করা যায় সাকিব বলছেন, ” আমার কিছু করার নেই, রুলস আর রুলস।” কিন্তু এক্ষেত্রে ক্রিকেট প্রেমীরা বলছেন ,” বাংলাদেশ জানে তারা কখনো লড়াই করে জিততে পারবে না তাই ছল কপটই একমাত্র উপায়।” আবার অনেকে বলেন, ” বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের মধ্যে সামান্য ক্রিকেটীয় স্পিরিট নেই, আইসিসি র উচিত হয় নি এমন দল কে বিশ্বকাপের মত একটা টুর্নামেন্ট এ অংশ গ্রহণের অধিকার দেওয়া।”
মান সম্মান খুইয়ে এমন জয় মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেট ভক্ত থেকে সমালোচকরা।
বাধ্য হয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস কাল অসহায়ের মতো ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
খেলা শেষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বলেন, “এমন নোংরা দল আমি দেখিনি, এদের কোনো মানবিকতা নেই।”
তবে সাথে সাথে ক্রিকেটপ্রেমীরা ভারতীয় খেলোয়াড়দের নজিরবিহীন সৌজন্যতার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন । বিরাট , ধোনি, সৌরভ , শচীন দের ভদ্রতার কথা তুলে প্রশংসাও করেছেন।
বাংলাদেশী ক্রিকেটারের মাঠের মধ্যেই নাগিন নাচ করে অভদ্রতার কথাও ভুলে যায় নি ক্রিকেট ভক্তরা।
তবে সাকিব বলেন, “আমি যুদ্ধে ছিলাম, দলের জন্য যেটা ঠিক সেটাই করেছি।”

Sub Editor – Ramananda Das, Prateek Chaterjee
Manager – Bubun Maity
Editor – Dibyendu Das
Co Editor-Anuradha Bhattacharya
Editor in chief – Rakesh Sharma
