রুদ্ধশ্বাস ৪০০ ঘন্টার অপেক্ষার অবসান, মুক্তির আলো দেখলো ৪১ শ্রমিক।
দিব্যেন্দু দাস, রঙ নিউজ

রুদ্ধশ্বাস ৪০০ ঘন্টার অপেক্ষার অবসান, মুক্তির আলো দেখলো ৪১ শ্রমিক। সারাদেশের মানুষ দেখলো ১৫ সংস্থার ৬৫২ জন উদ্ধার কারীর নিরলস প্রয়াস। হাসি ফুটলো অপেক্ষার প্রহর গোনা শ্রমিকদের বাড়িতে। ভারত মাতার জয়গানে আকাশ বাতাস মুখরিত হল উত্তর কাশীর সিল্কিয়ারা ও ডন্ডলহ গ্রামের মাঝের চতুর্ধাম যোগের সুড়ঙ্গের মুখে। টানা ১৭ দিনের অন্ধকার সুড়ঙ্গের অভ্যন্তরে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার এর পর উদ্ধারকারী দল অসীম আনন্দে জড়িয়ে ধরেছে প্রত্যেক শ্রমিকদের নিজের ভাইয়ের মত। ১২ নভেম্বরের দেওয়ালীর আলো যখন ভারতের আকাশ ছেয়ে গেছে, গভীর অন্ধকার সুড়ঙ্গের অভ্যন্তরে ধ্বসে পড়ে বেরিয়ে আসার পথ। আটকে পড়েন প্রায় ৪১ জন শ্রমিক। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকরা বিপদ সংকেত পাঠায় জলের পাইপের মাধ্যমে। বাইরের শ্রমিকরা তৎক্ষণাৎ উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেন্ট্রাল ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট, ইন্দো তিবেতিয়ান পুলিশ, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং এর নির্দেশে বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বর্ডার রোড ওয়েজের বাহিনী। সঙ্গে ছিল দেশী বিদেশী উন্নত মানের সুড়ঙ্গ কেটে উদ্ধার করার জন্য বিশেষ যন্ত্র। সব যন্ত্র যখন মুখ থুবড়ে পড়ে ,সব পন্থা যখন ব্যর্থ হয় তখন ইঁন্দুরের গর্ত বিশেষ মাইনিং পদ্ধতি অবলম্বন করে একটানা খনন কার্য চালিয়ে উদ্ধার করা হল অন্ধকার সেঁত স্যাঁতে দমবন্ধকর পরিবেশে ১৭ দিন কাটানো ৪১ শ্রমিককে। মাঝে বিশেষ পাইপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানীয়, ঔষধ, অক্সিজেন পাঠায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এমনকি রুদ্ধ শ্রমিকদের মোবাইল ফোন ও সরবরাহ করা হয় যাতে শ্রমিকরা তাদের বাড়ীর পরিজনেদের সাথে কথা বলতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বার বার ছুটে গিয়ে শ্রমিকদের খোঁজ নিয়েছেন। তাদের সুচিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এর কথা ঘোষণা করেন।এমন দুর্ঘটনার পর। চার ধাম যোগের টানেলের ভবিষ্যৎ কী হবে তা সময় ই বলবে ।

Sub Editor – Ramananda Das, Prateek Chaterjee
Manager – Bubun Maity
Editor – Dibyendu Das
Co Editor-Anuradha Bhattacharya
Editor in chief – Rakesh Sharma