শশায় শান্ত শরীর
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়:Rong News
বাংলা প্রবাদবাক্যে ‘শ্যামবাজারের শশীবাবু শনিবার সকালে শশা’ খেতেন। টালা থেকে টালিগঞ্জ বা শহর কলকাতা ছাড়িয়ে জেলায় আক্ষরিক অর্থেই বহুল প্রচলিত প্রবাদবাক্যে মান্যতার শিলমোহর দিচ্ছে শশা। চলতি সময়ে লাগাতার চলতে থাকা তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে শরীরে পর্যাপ্ত জলের যোগান রাখার পাশাপাশি শরীর শান্ত রাখতে জুড়ি নেই শশার। জলখাবারে কাঁচা ছোলা, মুড়ি, নারকেল সহ লবণ সহযোগে শশাই হোক বা দুপুরে ভাতের পাতে, চিকিৎসক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমে ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলশূন্যতা এড়াতে পারে শশা। জলীয় ফল শশায় রয়েছে প্রায় ৯৬ শতাংশ জল। ফলে খুব সহজেই শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে শশার জুড়ি মেলা ভার।

চিকিৎসক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সুগার ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি তীব্র গরমে ‘হিট স্ট্রোক’ রুখে দিতে পারে শশা। গরমে বদহজমের গোলমাল ঠিক করে দিতে পারে শশায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি খনিজ পদার্থ। কোষ্ঠকাঠিন্যে খুব ভালো ফল দেয় শশায় থাকা ফাইবার। এছাড়াও চোখ ভালো রেখে চোখের সংক্রমণ রোধ করতে পারে শশা। সারাদিন শরীরকে চনমনে রাখতে পারে শশায় থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের কথায়, শশায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোধ করতে পারে অকাল বার্ধক্যকে।

সাব এডিটর – রামানন্দ দাস, প্রতীক চ্যাটার্জী
ম্যানেজার – বুবুন মাইতি
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
কো এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা
এডিটর ইন চিফ – রাকেশ শর্মা
