সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের উদ্যোগে তাপদগ্ধ মানুষকে জল দান
সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী :, রঙ নিউজ

১৮৯৭ সালের মে মাস। শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম পার্ষদ স্বামী অখন্ডানন্দজী মহারাজ পদব্রজে চলেছেন মুর্শিদাবাদের দিকে। দাদপুর অঞ্চলে এসে দেখলেন তীব্র দুর্ভিক্ষ। এক মুসলমান বালিকা দাঁড়িয়ে কাঁদছে। “কেন কাঁদছো মা?” জিজ্ঞাসা করায় সে জানালো,“ বাবা, একে আকাল, খেতে পাই না। তার উপর ঘরে একটিই মাটির কলসি ছিল। জল আনতে গিয়ে ভেঙে গেছে। এখন বাড়ি গেলে মা মারবে। তাই ভয়ে কাঁদছি।” পূজ্যপাদ মহারাজের সম্বল চার আনা থেকে দুই আনা ওই বালিকাকে দিতেই সে কিছু খাবার আর একটি মাটির কলসি কিনে জল ভরে বাড়ি গেল। এই ঘটনার মধ্যেই আছে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রথম শাখা সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম প্রতিষ্ঠার বীজ। রামকৃষ্ণ মিশনের প্রথম শাখাকেন্দ্র স্থাপনের পিছনে আছে জলদানের ঘটনা। আজ যেন সেই ঘটনাকেই মাথায় রেখে তীব্র তাপপ্রবাহে তাপদগ্ধ মানুষের উদ্দেশ্যে জলসত্র খুললেন রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, সারগাছি-র সাধু, ব্রহ্মচারী, ভক্তবৃন্দ। তীব্র রোদে জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়া সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন গাড়ির চালক ও তাদের সহকারি, গাড়ির যাত্রী, সকলকেই জলের বোতল তুলে দেওয়া হচ্ছিল ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’র যে আদর্শ স্বামী অখন্ডানন্দ সারগাছি আশ্রমে তথা সমগ্র রামকৃষ্ণ মিশনে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন সেই আদর্শকে মাথায় রেখে। পথচারীরা অনেকেই খুব খুশি হয়ে বারবার ধন্যবাদ দিচ্ছিলেন সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের এই উদ্যোগের পিছনে থাকা সাধু ব্রহ্মচারী ও ভক্তদের।

সাব এডিটর – রামানন্দ দাস, প্রতীক চ্যাটার্জী
ম্যানেজার – বুবুন মাইতি
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
কো এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা
এডিটর ইন চিফ – রাকেশ শর্মা
