*কিং কোহলির ৩৭তম জন্মদিনে ফিরে দেখা রেকর্ডের পাহাড়*
প্রতীক চ্যাটার্জী: রঙ নিউজ

আজ, ৫ নভেম্বর, ভারতীয় ক্রিকেটের ‘কিং’ বিরাট কোহলি ৩৭ বছর বয়সে পদার্পণ করলেন। এই দিনটিকে ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেট মহল এক কিংবদন্তীর জন্মবার্ষিকী হিসেবে উদযাপন করছে। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে কোহলি তাঁর ব্যাটিং শৈলী, আগ্রাসন এবং ধারাবাহিকতা দিয়ে ক্রিকেটকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন।

২০১১ সালের বিশ্বকাপ ২০১৩ ও ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কোহলি বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের একজন আইকন। তাঁর ৩৭তম জন্মদিনে, একবার ফিরে দেখা যাক ‘চেজ মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত এই মহাতারকার কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড ও অর্জন, যা তাঁকে আধুনিক ক্রিকেটের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।

রেকর্ডের পাহাড়:
• কোহলি ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫১টি সেঞ্চুরি করে সর্বকালের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান হিসেবে শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
• ওয়ানডেতে ৮,০০০, ৯,০০০, ১০,০০০, ১১,০০০ এবং ১২,০০০—সবগুলি মাইলফলকে দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ড তাঁর দখলে। মাত্র ২০৫ ইনিংসে ১০,০০০ ওডিআই রান করে তিনি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন।
• ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০,০০০-এর বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির ব্যাটিং গড়ই সর্বোচ্চ (৫৭.৭১), যা তাঁর অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার প্রমাণ।
• টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪,০০০ রানের গণ্ডি পেরোনো প্রথম ব্যাটসম্যান তিনি। এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ‘প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ’ পুরস্কারও তাঁর ঝুলিতে।
• টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ৭টি ডাবল সেঞ্চুরি করা একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান হলেন বিরাট কোহলি।
• তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মাত্র ৫৯৪ ইনিংসে তিনি ২৭,০০০ আন্তর্জাতিক রান পেরিয়েছেন, যা এই মাইলফলকে পৌঁছানোর জন্য দ্রুততম। তাঁর নামের পাশে রয়েছে মোট ৮২টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।
• ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (IPL) সবচেয়ে বেশি রান (৮,৬৬১) করার রেকর্ডটিও কোহলির। ২০১৬ সালে এক মরসুমে তাঁর করা ৯৭৩ রান এখনও পর্যন্ত আইপিএল-এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

তাঁর ফিটনেস এবং মানসিকতা নতুন প্রজন্মের কাছে এক আদর্শ। ICC তাঁকে তিনবার (২০১৭, ২০১৮, ও ২০২৩) ‘আইসিসি ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। বিরাট কোহলির কেরিয়ার কেবল পরিসংখ্যানের সমষ্টি নয়, বরং আবেগ, আগ্রাসন এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যা তাঁকে শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড় হিসেবে নয়, একটি যুগের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, সোমনাথ মুখোপাধ্যায় , প্রতীক চ্যাটার্জী
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
এডিটর ইন চিফ – ড: রাকেশ শর্মা
