হাঁস না মুরগীর ডিম: পছন্দ আপনার
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়:Rong News
খুব সহজেই প্রোটিন খাদ্য হিসাবে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। বলাই বাহুল্য যে খাবারের থালায় একটি ডিম থাকলে আট থেকে আশি সকলের মুখে হাসি। কিন্তু হাঁস না মুরগীর ডিম কোনটি শরীরের জন্য সবথেকে উপযোগী তা নিয়ে ধন্দে পড়েন অনেকেই।
বস্তুত দৈনিক খাদ্য তালিকায় গোটা বিশ্ব জুড়েই অত্যন্ত পছন্দের ও জনপ্রিয় খাদ্য হিসাবে ডিমের কদর সবসময়। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে অত্যন্ত সহজলভ্য প্রোটিন খাদ্য হিসাবে ডিম অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে হাঁস না মুরগীর ডিম তা বাছতে গেলে নজর রাখতে হবে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতামতের ওপর। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে পুষ্টিগুণ হিসাবে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। তাঁদের কথায়, ডিম একটি আদর্শ খাদ্য। তবে মুরগীর তুলনায় হাঁসের ডিম আকারে কিছুটা হলেও বড়ো, ফলে তার পুষ্টিগুণ স্বাভাবিকভাবেই বেশি। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটি মুরগীর ডিম যেখানে ৬৬ কিলো ক্যালরি শক্তি দিতে পারে সেখানে একটি হাঁসের ডিম ১৩০ কিলো ক্যালরি শক্তি দিতে সক্ষম। এছাড়া প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণে বিশেষ হেরফের না থাকলেও ২৯৫ শতাংশ কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে হাঁসের ডিমে যা যথেষ্টই বেশি। অন্যদিকে মুরগীর ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১৪১ শতাংশ যা কিনা বেশ কম। আবার মুরগীর ডিমে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের পরিমাণ ২৩ শতাংশ হলেও হাঁসের ডিমে তা ৯০ শতাংশ। এর পাশাপাশি হাঁসের ডিমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ যার মধ্যে সেলেনিয়াম ও কোলিন থাকে অনেকটাই বেশি। মুরগীর ডিমে এগুলি অনেকটাই কম।
এবার চোখ রাখা যাক চিকিৎসকদের মতামতের দিকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সঠিকভাবে বজায় রাখতে কোলিন ও সেলেনিয়াম অত্যন্ত জরুরি যা কিনা বেশি পরিমাণে মেলে হাঁসের ডিমে। তবে হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে হাঁসের ডিম সপ্তাহে একটির বেশি খাওয়া ঠিক নয়। তুলনায় মুরগীর ডিম নিরাপদ। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, স্নায়ুরোগের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অত্যন্ত জরুরি যা হাঁসের ডিমের কুসুম থেকে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। সুস্থ সবল শরীরের অধিকারী হলে হাঁস বা মুরগীর ডিমের মধ্যে কোনোটির ক্ষেত্রেই অসুবিধা নেই তবে বয়স পঞ্চাশ পার হলে ডিমের কুসুমের থেকে সাদা অংশটি খাওয়া সবদিক থেকে নিরাপদ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, সোমনাথ মুখোপাধ্যায় , প্রতীক চ্যাটার্জী
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
এডিটর ইন চিফ – ড: রাকেশ শর্মা
