জামাইষষ্ঠীর বাজার মাতাচ্ছে মায়ানমারের ইলিশ
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়: Rong News
কলকাতা
কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। রকমারি সুস্বাদু মাছ পেলে ভোজন রসিক বাঙালি আর কিছু চায় না। সময়টা বর্ষাকাল নয়, তবু রবিবার জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে অন্যান্য মাছের সঙ্গে বাঙালির প্রিয় ইলিশ মাছের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। ইলিশ ভাজা, সরষে বাটা দিয়ে ইলিশের ঝাল, ইলিশ ভাপা, ইলিশের টক প্রভৃতি রকমারি ইলিশের জিভে জল আনা পদ দিয়ে জামাইদের আপ্যায়ন করেন শাশুড়িরা। জামাইরাও হাসিমুখে ভাতের থালায় কবজি ডুবিয়ে খান।
অন্যান্য মাছের মধ্যে পাবদা, চিংড়ির চাহিদা থাকলেও ইলিশের চাহিদা বরাবরই। সবচেয়ে বেশি চাহিদা পদ্মার ইলিশের। কিন্তু চাহিদা থাকলেও আমদানি বন্ধ। তাই ফাঁকা মাঠে গোল করছে বার্মা বা মায়ানমারের ইলিশ। হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে মায়ানমারের ইলিশের চাহিদা যথেষ্টই। কলকাতা ও হাওড়ার বড়ো বড়ো মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা আসছেন সেখানে। পছন্দমত মাছ নিয়ে যাচ্ছেন। ইলিশের যথেষ্ট আমদানিতে দৃশ্যত খুশি ব্যবসায়ীরা। ইলিশের মাছের দাম ঠিক হয় সাইজ অনুযায়ী। হাওড়া পাইকারি মাছ বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ থেকে বাংলাদেশি ইলিশের আমদানি বন্ধ। গত তিন বছর দুর্গাপূজো উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতিতে এপার বাংলায় ইলিশ পাওয়া গিয়েছে। এটি ছিল বাংলাদেশ সরকারের দুর্গাপূজার উপহার। তাই পদ্মার ইলিশ না মিললেও দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই ভোজনরসিক বাঙালির খাবারের আসর মাতাচ্ছে মায়ানমারের ইলিশ। হাওড়া পাইকারি মাছের বাজার সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, মায়ানমারের ইলিশের কেজি প্রতি ১১০০, ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ কিলো ২০০ গ্রাম থেকে দেড় কিলোর ইলিশ বিকোচ্ছে ১৪০০ টাকায়। হাওড়া হোলসেল ফিস্ মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ জানিয়েছেন, জামাইষষ্ঠীতে পদ্মার ইলিশ কোনদিনই থাকত না। গত তিন বছর দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতিতে পদ্মার ইলিশ পাওয়া গিয়েছে। তবে বাজারে প্রচুর পরিমাণে মায়ানমারের ইলিশ আছে। এখন যদিও ইলিশের সিজন্ নয় তাই খুব বেশি ইলিশ বিক্রি হয় না। তাঁর কথায়, অন্যান্য মাছের পাশাপাশি জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ইলিশ মাছের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে মাছ কিনতে আসা এক ব্যবসায়ী রবিন হাজরা বলেন, বাজারে প্রচুর ইলিশ মাছ রয়েছে। ইলিশ মাছের চাহিদাও রয়েছে। আমরা এখানে বারোশো তেরোশো টাকার ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছি। একটু বড়ো ইলিশ পনেরশো টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
Sub Editor- Ramananda Das
Editor- Dibyendu Das
Editor in chief- Rakesh Sharma
