কোন অভিমানে নিজের গ্রাম ছেড়ে, মেদিনীপুর ছেড়ে চলে গেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র, আর ফিরলেন না?
রঙ নিউজ ; সুপর্ণা রায়

পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় এর জন্মস্থান মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের অন্তর্গত বীরসিংহ গ্রামে।
বীরসিংহ গ্রামের মাটির ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে খড়ের ছাউনির নিচেই জন্মেছিলেন আজকের দয়ারসাগর।
মা ভগবতী দেবী যেন সাক্ষাৎ দয়ার দেবী ছিলেন আর মায়ের থেকে এই গুণই পেয়েছিলেন। বাবা ঠাকুরদাস বন্দোপাধ্যায় নীতিপরায়ন। বাবার মতই তিনিও ন্যায়ের মূর্ত প্রতীক।
আর ঠাকুরদা রামজয় তর্কভূষণ ছিলেন দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।
ঠাকুরদার থেকেই পেয়েছিলেন সাহসী মন।
গুরুমসাই কালীকান্ত চট্টোপাধ্যায় এর পাঠশালা থেকে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়।
সে সময় ব্রিটিশ শাসনকাল।
বীরসিংহ গ্রামটি সে সময় হুগলি জেলার অন্তর্গত ছিল।
ঈশ্বরের শৈশব কেটেছে এই গ্রামে।
কিন্তু এমন কি হলো যে তাঁর সেই প্রাণের জন্মস্থান আর পিতৃভিটে ছেড়ে আর কখনো না ফেরার পণ করে চলে গেলেন !
মায়ের ডাকে সাড়া দিতে যিনি ঝড় জলের রাতে সাঁতরে পার হয়ে এসেছিলেন উত্তাল দামোদর।
মা অন্তপ্রাণ সেই ঈশ্বর আর ফিরলেন না মাতৃস্থানে।

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কিছু চিঠি পত্র ও তৎকালীন বিদ্যাসাগর মহাশয়কে লেখা অন্যদের চিঠি পত্র থেকে বোঝা যায় এক মাত্র ছেলে নারায়ন চন্দ্র বন্দোপাধ্যায় যিনি নারায়ণ তর্করত্ন নামেও পরিচিত।
প্রাণাধিক পুত্রের ওপর অভিমান করে তিনি চলে গেছিলেন এক রাতে।
চিঠিতে লিখে গেছিলেন আর কোনো দিন মেদিনীপুরে না ফেরার কথা।
এবং উইল ও পাল্টে ফেলেছিলেন তিনি।
তাঁর সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত করেছিলেন পুত্র নারায়ণ কে।
যিনি এক কালে বাবার পাশে দাঁড়াতে বিয়ে করেছিলেন বিধবা ভবসুন্দরিকে।
তবে অভিমান শুধু পুত্রের ওপর নয় ছিল স্ত্রী দিনময়ীর ওপর ও।
তবে নারায়ণ চন্দ্র বারবার ক্ষমা চেয়ে বাবার কাছে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন।
অভিমান সরে গেছিল অসুস্থ মৃত্যু পথ যাত্রী স্ত্রীর ওপর থেকেও ।
তবে ফেরা হয় নি আর বীরসিংহ, ব্রাত্য থেকে গেছে মেদিনীপুরের মাটি।
Sub Editor – Ramananda Das, Prateek Chaterjee
Manager – Bubun Maity
Editor – Dibyendu Das
Co Editor-Anuradha Bhattacharya
Editor in chief – Rakesh Sharma