ইন্দ্রিয় সংযম বিবাহের উদ্দ্যেশ্য; স্বামী বেদানন্দ
নবনীতা পাল : Rong News
স্বামী বেদানন্দের কথায়,হিন্দু সমাজে বিবাহের উদ্দ্যেশ্য “শুধু ইন্দ্রিয় সুখ সম্ভোগ নয়, ইন্দ্রিয় সংযম”। হিন্দু বিবাহের উদ্দ্যেশ্য:-
১. শাস্ত্র নির্দ্দিষ্ট বিধিনিষেধের গন্ডীর মধ্যে থেকে জীবন যাপন দ্বারা ইন্দ্রিয় সংযমের অভ্যাস ও সাধনা।
২. দেশ – জাতি – সমাজের মুখোজ্জ্বলকারী ধর্ম্মবীর ও কর্ম্মবীর সন্তানের জন্মদান
৩. ধর্ম্মাচরণে এবং পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব কর্তব্য পালনে নারী পুরুষের সহযোগিতা।
উপরিউক্ত তিনটি উদ্দ্যেশ্যর মধ্যে প্রথমটাই হলো মুখ্য; অপর দুটি গৌণ। কারণ প্রথম উদ্দ্যেশ্য সাধনের ওপর অপর দুটো নির্ভর করে। স্বামী স্ত্রী যত অধিক ইন্দ্রিয় সংযমে অভ্যস্ত হবেন, ততই তাদের মিলনে উৎপন্ন সন্তান – বীর্য্যবান, পুণ্যবান, ধর্ম্মপরায়ণ, ও কর্মবীর হবে। এবং তাদের দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ধর্ম্মবুদ্ধি, ভগবদভক্তি সুশৃংখলা ও শান্তি বজায় রাখতে পারবেন।
মানব জীবনের চরম লক্ষ্য – আত্মোপলব্ধি বা ভগবদ প্রাপ্তি। ইন্দ্রিয় সংযম ও ব্রহ্মচর্যের সাধনা না করলে ভগবদ প্রাপ্তি সম্ভব নয়। সুস্থ সন্তান লাভের জন্য ও ধর্ম্মপথে জীবন যাপনের জন্য ইন্দ্রিয় সংযম আবশ্যক। সংযমেই শক্তি লাভ; ইন্দ্রিয় সংযম দ্বারাই শারীরিক স্বাস্থ্য ও সামর্থ্য, মানসিক শক্তি, নৈতিক বল এবং আধ্যাত্মিক বীর্য্যবত্তা বিকশিত হয়।
সাংসারিক জীবনে যারা বিদ্যা, ঐশ্বর্য্য, যশ ইত্যাদি লাভ করতে চায়, তাদেরও প্রয়োজন শক্তির। শক্তি লাভের উপায় ইন্দ্রিয় সংযম ভোগবিলাস ত্যাগ পূর্ব্বক কঠোর জীবন যাপন। সাংসারিক নারী ও পুরুষের মধ্যে যাঁরা মহত্ব লাভ করেছেন, তাঁদের জীবন আলোচনা করলে দেখা যাবে তাঁরা কত বড় ইন্দ্রিয় সংযমী ও কঠোর ছিলেন। ইন্দ্রিয় সম্ভোগে মানুষের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির ক্ষয় হয়। ইন্দ্রিয় সংযমে সেই শক্তির রক্ষা হয় এবং তাদের মিলনে ধার্ম্মিক ও জিতেন্দ্রিয় সন্তানের জন্ম হয়।
সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, প্রতীক চ্যাটার্জী
ম্যানেজার – বুবুন মাইতি
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
এডিটর ইন চিফ – রাকেশ শর্মা
