ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে আর বিভ্রান্তি নয়

Views: 41
0 0

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে আর বিভ্রান্তি নয়

✍️ দীপা দে , Rong News

 

ব্যাথা মানেই ইউরিক অ্যাসিড এই বিভ্রান্তি এখন ঘরে ঘরে। সব ব্যাথার কারন ইউরিক অ্যাসিড নয়। হতে পারে সে ব্যাথা অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, মার্সেল পেইন অথবা নার্ভের ব্যাথার কারণে। তাই প্রথমেই পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে ব্যাথার আসল কারণ।

মহিলাদের ক্ষেত্রে ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক মাত্রা ১.৫ থেকে ৬.০ মিলিগ্ৰাম / ডেসিলিটার। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ২.৫ থেকে ৭.০ মিলিগ্ৰাম / ডেসিলিটার।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি কি ক্ষতি হয়, কোন কোন খাবারে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে বা কমে তা জানা একান্ত আবশ্যক।

ইউরিক অ্যাসিড হাড়ের সন্ধিস্থলে ক্রিস্টালের মতো জমে সন্ধিস্থল ফুলে যায়। একে গাউট বা গেঁটে বাত বলে। হাই প্রেশারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হৃদ রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মূত্রের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড ও শরীরের অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ঠিক মতো বের না হওয়ায় কিডনি বিকল হতে শুরু করে।

ইউরিক অ্যাসিড স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেলে ফাইবার যুক্ত খাবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার বেশী বেশী খেতে হবে।

ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন আপেল, মিষ্টি আলু, ভুট্টার খই, ওটস , ছোলা, ভাঙা ডাল, ব্রকলি, গাঁজর, বিটরূট, বাদাম শুকনো ফল, চিয়া বীজ ইত্যাদি।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার যেমন পেঁয়াজ, আখরোট, চর্বি হীন মাংস, মধু, পালংশাক, লাল ক্যাপসিকাম, কালো চকোলেট, গ্ৰিন টি ইত্যাদি খাওয়া ঝুঁকি মুক্ত।

অধিক চর্বিযুক্ত মাংস , ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ, অ্যালকোহল, কোল্ডড্রিংকস, চকোলেট এগুলো ইউরিক অ্যাসিডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর সুতরাং এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

 

 

 

 

 

 

 

সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, সোমনাথ মুখোপাধ্যায়,প্রতীক চ্যাটার্জী

ম্যানেজার – বুবুন মাইতি

এডিটর – দিব্যেন্দু দাস

এডিটর ইন চিফ – রাকেশ শর্মা

Happy
Happy
0
Sad
Sad
0
Excited
Excited
0
Sleepy
Sleepy
0
Angry
Angry
0
Surprise
Surprise
0

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *