*বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের লাঠিচার্জের কারণ জানালেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ*
নবনীতা পাল:Rong News
সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের তরফে জানানো হয়, ‘সাত ঘণ্টা ধৈর্য ধরেছিল পুলিশ, কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরেননি’, বিকাশ ভবনের ঘটনা প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকার, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, বলেন, “যাঁরা আটকে ছিলেন তাদের সুষ্ঠু ভাবে বার করে আনা হয়েছে। কেউ জখম হননি সরকারি কর্মচারীরা।
একইসঙ্গে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা দশদিন ধরে রোটেশন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করছেন। পুলিশ কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। গতকাল তাঁরা ব্যারিকেড ভাঙে। জোর করে গেট ভেঙে বিকাশ ভবন চত্বরে ঢুকে পড়েন। পুলিশের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। পুলিশ সচেতন ভাবে কিছু করেনি। পুলিশ ধৈর্য দেখিয়েছে। পুলিশ বল প্রয়োগ করেনি। তারা চাকরি হারিয়েছে তাই বারবারই পুলিশ তাঁদের বুঝিয়েছে। আন্দোলনকারীদের পুলিশ বলেছিল এখানে সরকারি কর্মচারীরা বাড়িতে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। যার ফলে ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বহু সরকারি কর্মী। অনেকের বাড়িতে অসুস্থ মা, বাচ্চা রয়েছে, তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। এক তরুণী বাধ্য হয়ে ঝাঁপ দেন। তাঁর পা ভেঙেছে। আমরা অনুরোধ করি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করুন। যাঁরা আটকে আছেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হোক। মাইকিং করা হয় সেই মর্মে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাতে কর্ণপাত করেননি। বরং যখন আটকে পড়া সরকারি কর্মীদের বার করার কাজ শুরু হয় তখন আক্রমণ আসে। ক্যামেরায় সবটাই ধরা আছে। সাত ঘণ্টা ধরে পুলিশের অনুরোধ মানা হয়নি। সাত ঘণ্টা পরে এই ধরনের আন্দোলন গণতান্ত্রিক থাকতে পারে না।যখন বার করার কাজ শুরু হল তখন বোতল ইট ছুঁড়ে দিল। তারপরই পুলিশের তরফে বল প্রয়োগ করা হয়েছে। আইন এবং অধিকার সকলের জন্য। তাই আইন ও অধিকার সকলের মানা উচিত।”
সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, সোমনাথ মুখোপাধ্যায়,প্রতীক চ্যাটার্জী
ম্যানেজার – বুবুন মাইতি
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
এডিটর ইন চিফ – রাকেশ শর্মা