*বিকৃত কামে আসক্ত; সামনে এলো মনোজিতের ভয়াবহ সব কীর্তি*
নবনীতা পাল Rong News
কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তিনি। সেই ‘গুণধর’ মনোজিৎ মিশ্রের একাধিক কীর্তি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে তাঁর ‘দাপটে’র কথা ফাঁস করেছেন বহু ছাত্রছাত্রী। এবার সামনে এল তাঁর বিকৃত মানসিকতার কিছু নজির। মনোজিতের বন্ধুবান্ধব, জুনিয়র থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, বিকৃত কামে আসক্ত ছিল এই যুবক। একাধিক উদাহরণও দিয়েছেন তাঁরা।
দক্ষিণ কলকাতার সংশ্লিষ্ট ল’কলেজের ক্যাম্পাসে প্রভূত দাপট ছিল গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিতের। ইতিমধ্যেই তাঁর তৃণমূল যোগ সামনে এসেছে। সেই সঙ্গেই শোরগোল ফেলেছে তাঁর একাধিক কীর্তি। মনোজিতের বন্ধুবান্ধব, জুনিয়র থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, কসবা কাণ্ডের অভিযুক্তের চাহিদা মেটাতে অনেকেই নিজেদের মহিলা সহপাঠীর শরীরের নানান অংশের আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য হতেন ও সেগুলি তাঁকে দেখাতেন। মনোজিৎ নিজেও তাঁর ফোনে মহিলাদের শরীরের নানান অঙ্গের ছবি তুলে রাখতেন বলে অভিযোগ।
সেই ছবি-ভিডিওগুলি নিজের ঘনিষ্ঠমহলে শেয়ার করতেন বলে খবর। সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এর আগেও মনোজিতের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন একাধিক ছাত্রী। সেসবও ক্যামেরাবন্দি করতেন ওই যুবক। এরপর সেগুলি নিজে দেখার পাশাপাশি নিজের সাঙ্গপাঙ্গদেরও দেখাত।
কসবা কাণ্ডের নির্যাতিতাকে মনোজিৎ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে। এটাও তাঁর ‘প্যাটার্ন’ ছিল বলে খবর। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নতুন কোনও ছাত্রীকে পছন্দ হলেই মনোজিৎ সোজা বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। সেই ছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করলেই শুরু হল অত্যাচার।
জানা যাচ্ছে, নানান সময়ে বহু মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। তাঁর বিকৃত কামের শিকার হয়েছেন ওই নারীরা। অভিযোগ, সঙ্গমের মুহূর্তগুলির ভিডিও বানিয়ে রাখতেন মনোজিৎ। এরপর সেগুলি অন্যদের দেখিয়ে ‘কৃতিত্ব’ নিতেন। এমনকি কতজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন সেটারও হিসেব রাখতেন বলে অভিযোগ!
জানা যাচ্ছে, কলেজ ট্রিপে গিয়েও মনোজিৎ নিজের ‘শিকারে’র খোঁজ করতো। সেই কারণে একবার এক ছাত্রী লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হন বলে খবর। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে মনোজিৎ তাঁকে খুঁজেছিলেন বলে দাবি তাঁর।
কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রের দাবি, মারধর, যন্ত্রণার ভিডিও দেখতে পছন্দ করতো মনোজিৎ। সে নিজে দেখার পাশাপাশি লোকজনকে দেখাতেও পছন্দ করতো। ‘নোংরা যৌনতা’ পছন্দ ছিল কসবা কাণ্ডের অভিযুক্তের।
উল্লেখ্য, কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের একাধিক কীর্তি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। সময় যত এগোচ্ছে, ততই সেই সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কীভাবে তাঁর ‘শিকার’ হতেন কলেজের ছাত্রীরা, এবার সেকথা প্রকাশ্যে এল। সেই সঙ্গেই সামনে এসেছে তাঁর বিকৃত মানসিকতার নজির।
সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, সোমনাথ মুখোপাধ্যায়,প্রতীক চ্যাটার্জী
ম্যানেজার – বুবুন মাইতি
এডিটর – দিব্যেন্দু দাস
এডিটর ইন চিফ – রাকেশ শর্মা