বেগুনকোদরে ভূতেদের হাতছানি

Views: 43
0 0

বেগুনকোদরে ভূতেদের হাতছানি

প্রতিবেদন – নবনীতা পাল , রঙ নিউজ

আজ আপনাদের একটি ভয়াবহ ও ভৌতিক রেল স্টেশনের কথা বলব, যার নাম বেগুনকোদর। সত্যিই কি এখনও এই স্টেশনে অলৌকিক ঘটনা ঘটে? চলুন জেনে নিই।বেগুনকোদর দক্ষিন পূর্ব রেলওয়ের রাঁচি বিভাগের একটি রেলওয়ে স্টেশন যেটি পুরুলিয়া জেলার ঝালদা ও বেগুনকোদর শহরের মধ্যে রেল যোগাযোগ পরিচালনা করে। ১৯৬০ সালে স্টেশন টি নির্মাণ করেছিলেন সাঁওতাল রানী লচন কুমারী। বেগুনকোদর পুরুলিয়া থেকে প্রায় ১৭২ কিমি দূরে। শহরটি ঝাড়খণ্ডের সীমান্তের কাছে অবস্থিত।এই স্থানটি পুরুলিয়ার মানুষের ভ্রমণ কে আকর্ষণীয় তোলে। রাঁচি কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই রাঁচির পরিষেবা ব্যবহার করেন। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুসারে বেগুনকোদরের জনসংখ্যা ছিলো ৬,৪৩৭ জন।

 

এখানকার বাসিন্দা দের কথা অনুযায়ী ১৯৬৭ সালে একজন রেলকর্মী এই স্টেশনে একজন মহিলার আত্মাকে দেখতে পান। গুজবও রটে যে যেই মহিলার আত্মা দেখা গিয়েছিল উনি রেল দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। এরপর প্রকৃত সমস্যা শুরু হয় তখন, যখন স্টেশন মাস্টার ও তার পরিবারের মৃতদেহ গুলো তাদের কোয়ার্টারে পাওয়া যায়। এরপর মানুষের মুখে মুখে রটে গেলো স্টেশনটি ভৌতিক এবং পরবর্তী কালে স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আসলে নিরাপত্তার কারণে স্টেশনে কর্মী সঙ্কট দেখা যায় যার ফলে স্টেশনে ট্রেন থামানো বন্ধ হয়ে যায়। পৃথিবীর ১০ টি ভূতুরে স্টেশনের মধ্যে এটি একটি। ভারতীয় রেলওয়ে এটিকে স্টেশন টিকে ভূতুরে স্টেশন বলে দাবি করেছিলেন।

 

১৯৯০ সালের শেষের দিকে বেগুনকোদর গ্রামবাসিরা একটি কমিটি গঠন করেন এবং আধিকারিকদের পুনরায় স্টেশন টি চালু করার অনুরোধ জানান। ২০০৭ সালে, স্থানীয় গ্রামবাসীরা তৎকালীন রেলমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিআইএম নেতা বাসুদেব আচার্যকে চিঠি লেখে। বাসুদেব আচার্যের বাড়ি ছিল পুরুলিয়ায় এবং তিনি সেই সময়ের রেলওয়ের পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সেই ভুতুড়ে তকমাটা থেকেই রায়। বাসুদেব আচার্য বলেন যে রেলকর্মীরাই এই গল্পটি বানিয়েছে যাতে তাদের এখানে বদলি না করা হয়। ৪২ বছর পর,২০০৯ সালের আগস্ট মাসে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের হল্ট স্টেশন হিসেবে স্টেশনটি শেষপর্যন্ত চালু করেন।

 

প্রতিদিন এই স্টেশনে ১০ টি যাত্রীবাহী ট্রেন থামলেও এখনো যাত্রীরা সূর্যাস্তের পর স্টেশন টিতে আসে না।

 

পশ্চিমবঙ্গের একদল যুক্তিবাদী বেগুনকোদর স্টেশন সম্পর্কে দীর্ঘদিনের রহস্য উন্মোচন করেছেন। পুলিশি নিরাপত্তায় তারা রাতভর স্টেশনে ক্যম্প করে। তাদের তদন্তে জানা যায়, স্থানীয়রা ভূতের পর্যটন প্রচারের জন্য এবং ভীত পর্যটক দের ডাকাতির জন্য ভৌতিক গল্প ফেঁদেছিলেন।

 

 

 

 

 

 

 

সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, প্রতীক চ্যাটার্জী

ম্যানেজার – বুবুন মাইতি

এডিটর – দিব্যেন্দু দাস

এডিটর ইন চিফ – রাকেশ শর্মা

Happy
Happy
0
Sad
Sad
0
Excited
Excited
0
Sleepy
Sleepy
0
Angry
Angry
0
Surprise
Surprise
0

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *