প্রাণ বাঁচানোর পাঠ উচ্চমাধ্যমিকে 

Views: 47
1 0

প্রাণ বাঁচানোর পাঠ উচ্চমাধ্যমিকে

 

সোমনাথ মুখোপাধ্যায়:Rong News

 

আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচানোর পাঠ এবার সরাসরি অন্তর্ভুক্ত হলো উচ্চমাধ্যমিকের পাঠক্রমে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে সিপিআর সহ বিভিন্ন প্রাণ বাঁচানোর পদ্ধতি শেখানো হবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। এ বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিকের স্বাস্থ্য ও শারীরবিদ্যার পাঠক্রমের তৃতীয় সেমিস্টারে আবশ্যিক বিষয় হতে চলেছে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সংক্ষেপে সিপিআর।

 

বর্তমানে পথেঘাটে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন পেশার মানুষ। কখনো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, কখনো সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে মুখে ফুঁ দিয়ে বাতাস চলাচলে সাহায্য করা বা বুকে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা চালু রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো কাজ করে সিপিআর পদ্ধতি। অন্যদিকে জলে ডুবে যাওয়া বা গলায় খাবার আটকে গিয়ে অ্যামবুলেন্স ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেকে। চিকিৎসকদের মতে, সময়মতো জরুরি ভিত্তিতে সিপিআর পদ্ধতি প্রয়োগে জীবন বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বইপত্রের সঙ্গে হাতেকলমে শেখার জন্য জীবনদায়ী সিপিআর পদ্ধতিকে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্তির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, কেউ আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়লে গলার পাশে ক্যারোটিড ধমনী স্পর্শ করে হৃদযন্ত্র সচল আছে কিনা তা বোঝা, শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে দু হাতের সাহায্যে আক্রান্তের বুকে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্র সচল রাখার পাশাপাশি মুখে ফুঁ দিয়ে বাতাস চলাচলে সাহায্যে করা, গলায় খাবার আটকে গেলে হেমলিচ্ ম্যানুওভার বা পিঠের দিক থেকে ধরে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পেটে চাপ দেওয়া, শিশুদের পিঠে চাপড় মারা ইত্যাদি একঝাঁক পদ্ধতি প্রয়োগের পাঠ দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। সংসদ কর্তৃপক্ষের মতে, বিপদ বলে কয়ে আসে না। বিপদের মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। সময়মতো হাতের চাপই হয়তো বাঁচাতে পারে একটি অমূল্য প্রাণ।

 

 

 

 

সাব এডিটর – অনুরাধা ভট্টাচার্য্য শর্মা, সোমনাথ মুখোপাধ্যায় , প্রতীক চ্যাটার্জী

এডিটর – দিব্যেন্দু দাস

এডিটর ইন চিফ – ড: রাকেশ শর্মা

Happy
Happy
1
Sad
Sad
0
Excited
Excited
0
Sleepy
Sleepy
0
Angry
Angry
0
Surprise
Surprise
0

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *